নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
নরসিংদীতে চালু হতে যাচ্ছে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা। এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ইউরিয়া সার কারখানা এটি। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব কারখানাটিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদন হবে। এর মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানিতে বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের। আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানাটি উদ্বোধন করবেন।
ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে অত্যাধুনিক কারখানাটির নানা দিক তুলে ধরেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
জাকিয়া সুলতানা জানান, দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে ২৬ লাখ টন। স্থানীয় কারখানা থেকে সার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু হলে দেশে সার উৎপাদন অনেক বাড়বে। এতে বিদেশ থেকে সার আমদানিতে যে টাকা ব্যয় হয়, সেখান থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উদ্বোধনের পরপরই কারখানাটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারছে না। এ জন্য আরও এক মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হবে। প্রথমে কিছুদিন পরীক্ষামূলক উৎপাদন হবে। এ সময় কোনো সমস্যা না হলে শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, কারখানাটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। দেশে খাদ্য উৎপাদনে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি থাকায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এ সার কারখানা। পলাশ ও ঘোড়াশালের পুরোনো দুটি কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগত, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে নতুন কারখানায় আগের দুটি কারখানার চেয়ে বেশি ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, এ সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ, যা পরিশোধ করতে ১০ বছর সময় লাগবে। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
Posted ১:৩২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy