বাংলাদেশের নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
রোববার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এদিন রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব (যুগ্ম পরিচালক) মো. রাশিদুল আলম রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব (যুগ্ম পরিচালক) মো. রাশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়পত্র বৈধ হওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একক এ প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। তার উত্তরসূরি হচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রসঙ্গত, পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। বিচারকের চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। ওই সময় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওইসব ঘটনার তদন্তে একটি ‘কমিশন’ গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলের জনক এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।
