সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রে‌মিট্যান্স বাড়াতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর সাহায্য চাইলেন রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট

রে‌মিট্যান্স বাড়াতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর সাহায্য চাইলেন রাষ্ট্রদূত

দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করার বিষয়ে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের আয়োজন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক সে‌মিনা‌রে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ইমরান সরকার প্রণীত পদক্ষেপগুলো ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন।

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সবাইকে উৎসাহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সহজ লভ্য ও দক্ষ শ্রমশক্তি, কৌশলগত অবস্থান, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজার, সরকারঘোষিত সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে শিল্পকারখানা স্থাপন ও বিদেশি বিনিয়োগের আদর্শ স্থান হিসেবে মন্তব্য করেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার ব্যবসায়ীসহ প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরও বেশি মাত্রায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় সব দেশের ন্যায় বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।

তি‌নি ব‌লেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ কর‌তে হ‌বে।

রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তা‌দের সেবার মান সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মো. মেহেদী হাসান। তিনি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বিরাজমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করেন, যার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক ছাড়াও কৃষিপণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, অটোমোবাইল, সুনীল অর্থনীতি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পর্যটন খাত।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও নিয়ামকসমূহের বর্ণনা করেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৪৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com