নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশটা আরও উন্নত করা বিষয়ে কথা হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমেরিকা আরও উন্নত পরিবেশ চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
রবিবার (২১ মে) বিকালে বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠককালে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিব এসব তথ্য জানান।
এ সময় কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে যে টিকফা বৈঠক হয়েছিল, সে বিষয়গুলোর ফলোআপ আলোচনা হয়েছে। এখন থেকে ইউএস কটনের ফিউমিগেশন লাগবে না। এটা সেটেল হয়ে গেছে, সে জন্য তারা আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি আমরা বলেছি, এর ফলে তোমাদের কটন এক্সপোর্ট বাংলাদেশে বাড়বে। সুতরাং আমরা আগেও প্রস্তাব দিয়েছি ওই কটন থেকে প্রসেস করে আমরা রেডিমেড গার্মেন্টস আমেরিকায় এক্সপোর্ট করবো, সেই পণ্যের ওপর যেন ডিউটি ফ্রি সুবিধা দেওয়া হয়। তারা বলেছেন, এটা তারা দেখবেন, তবে এটা তাদের কংগ্রেসেই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে কোনও একটি পার্টিকুলার কান্ট্রিকে সাধারণত তারা এ সুবিধা দিতে চান না। তবে তারা বিষয়টি নোট নিয়েছেন।
সচিব আরও জানান, এ ছাড়া আইপিআর (ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি রাইটস) নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু আইপিআর ভায়োলেশন করে কিছু প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হয়েছে বলে তারা অভিযোগ তুলেছেন। আমরা জোরালোভাবে বলেছি, বাংলাদেশ থেকে কোনও কাউন্টারট্রেড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হয় না। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকায় সেটি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সেখানে আমাদের যারা ইম্পোর্টার, তাদের একটি প্রসেস আছে। সেখানে কোয়ালিটি ইন্সপেকশন হয়, প্রতিটি ধাপে ইন্সপেকশন হয় এবং স্যোসাল অডিটও হয়। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অডিটও হয়। দেখা যায় একজন সাপ্লায়ার দুই-তিনটা ইম্পোর্টারকে সাপ্লাই দিলে তিন রকম কোয়ালিটি ইন্সপেকশন হয়।
এখানে কাউন্টারট্রেড প্রোডাক্টের সুযোগ নেই। অনেক ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশ তাদের ওয়েবসাইটে যদি আমাদের কোনও প্রোডাক্ট দেখায় যে ইটস ফ্রম বাংলাদেশ এবং কেউ যদি বলে এটা কাউন্টারট্রেড, সেই দায়িত্ব তো আমরা নিতে পারি না। তারপরও যদি কোনও অভিযোগ আসে, সেটি আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।’ যোগ করেন সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি হলো আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশটা আরও উন্নত করা বিষয়ে। আমরা বলেছি, এটি একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস, আমরা চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবছর যে লাইসেন্স নবায়ন করতে হতো, এগুলো আমরা সহজীকরণ করেছি, পাঁচ বছর পর্যন্ত নবায়ন করা যায়। আমরা ব্যবসার পরিবেশ এবং প্রক্রিয়া সহজীকরণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা বলছে, এটি হলে তাদের বিনিয়োগটা বাড়বে।
Posted ১২:২৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy