নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
রাষ্ট্র পরিচালিত চারটিসহ নয়টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। এ সব ব্যাংক রেড জোনে রয়েছে। এ ছাড়া ২৯ টি ব্যাংক ‘ইয়েলো জোনে’ এবং ১৬টি ব্যাংক ‘গ্রিন জোনে’ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ‘রেড জোনে’ থাকা ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। দেশের ব্যাংকিং খাতের অর্ধবার্ষিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ। মূলত ছয়টি বিষয় সামনে রেখে এই ব্যাংকগুলোকে রেট দেওয়া হয়। সেগুলো হলো মূলধনের পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণমান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ২৯টি ব্যাংকের অবস্থান ‘ইয়েলো জোনে’। এর অর্থ এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো। ‘গ্রিন জোন’ সূচকের দিক থেকে ভালো পারফরম্যান্সকে বোঝায় এবং মধ্যবর্তী অবস্থানকে ‘ইয়োলো জোন’ বোঝায়। ইয়েলো জোনে দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে এবং ১৯টি প্রচলিত বেসরকারি ব্যাংক এবং আটটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক আছে। গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক, যা ভালো আর্থিক অবস্থা বোঝায়।
এদিকে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত পর্যালোচনা চলাকালীন ৩৮টি ব্যাংকের অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং ১৬টি ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদন সামনে এসেছে, যখন দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের এই বিশ্লেষণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যাংকগুলোর ডেটা সেট অন্যদের থেকে আলাদা। অন্যদিকে তথ্য-উপাত্তের অভাবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ইয়েলো জোনে আছে যেসব ব্যাংক :
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েলো জোনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকসহ ১৯টি বেসরকারি ব্যাংক এবং আটটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক আছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো হলো, আইএফআইসি, মেঘনা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো হলো : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
গ্রিন জোনে আছে যেসব ব্যাংক :
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক। মূলত এই ১৬ টি ব্যাংক ভালো আর্থিক অবস্থানে আছে। গ্রিন জোনে থাকা ব্যাংকগুলো হলো, প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাহ, ব্যাংক এশিয়া, সীমান্ত ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, উরি, এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
Posted ৮:২২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy