নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
দেশে পৌঁছেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছায় ইউরেনিয়ামের এই চালানটি।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার একটি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তেজস্ক্রিয় এ জ্বালানি দেশে আনা হয়েছে। রূপপুরের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা— রোসাটম এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে এবং সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত করার পর ইউরোনিয়ামের এই চালান প্রকল্প এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রাশিয়ার সহায়তায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।
২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিট মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরেই প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মোতাবেক কাজ এগিয়ে নেওয়ায় পারমাণবিক জ্বালানি পাওয়ার সব ধাপ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আইএইএর নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে (বিএইসি) পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দেয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রুশ প্রতিষ্ঠান বাররুস প্রজেক্ট এলসিসিকে।
রূপপুরে বর্তমানে সাড়ে চার হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। তাদের অধিকাংশই রাশিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, ভারতেরও কিছু দক্ষ প্রকৌশলী আছেন রূপপুর প্রকল্পে। বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশের ১ হাজার ৪২৪ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে তাদের রাশিয়া পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy