সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জো বাইডেনের সেলফি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জো বাইডেনের সেলফি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাসমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর সাথে সেলফি তুলেন। তবে ভারতের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লীতে এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাইডেনের সাথে জি-২০ অনুষ্ঠানস্থলে তোলা কয়েকটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন প্রাধানমন্ত্রী এর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। প্রধানমন্ত্রী সাথে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্টের ছবি তোলার এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পরেছে। এছাড়া বিশ্বের প্রভাবশালী একাধিক গণমাধ্যমেও প্রাধানমন্ত্রীর সাথে জো বাইডেনের সেলফি তোলার বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন। শুধু সেলফি তুলেনই দুই দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি নানা বিষয় কথাও বলেছেন। তাদের এই আলাপচারিতা ছিল চমৎকার, সুন্দর এবং আন্তরিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনীতিতে চলছে নানা রকম আলোচনা। বিদেশিদের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিও ইউনিয়ন সরকারকে ফেয়ার ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাপ দিচ্ছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক বিশেষ করে বি,এন,পি, জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা যে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে তাতে যেন বড় ধরনের থাক্কা দিলো শেখ হাসিনা ও জো বাইডেনের এমন হাসসজ্জল সেলফি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটারসহ সর্বত্রই দুই দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি ভাইরাল হয়েগেছে। তাতে হাজার হাজার লোক মন্তব্য করেছেন। যে যা মন্তব্য করে থাকুক না কেন কিন্তু একটা বিষয় সবার মাথায় রাখা উচিত দল মত নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি। আর আমেরিকা মত দেশের প্রেসিডেন্ট যেখানে নিজ আগ্রহের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে উৎসাহের সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গিয়ে ছিলেন তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য। এটা একজন বাংলাদেশি হিসাবে নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সম্মানের। কারন চাইলেই সবার পক্ষে যে কোন সরকার প্রধান জো বাইডেনের সামনে গিয়ে কথা বলাতো দূরের কথা সেলফি তোলাটা অনেকটাই দুষ্কর। যেখানে জো বাইডেন নিজে হাস্যজ্জল ভঙ্গিতে প্রধান্মন্ত্রির সাথে সেলফি তুলেন। এটা বাংলাদেশি হিসাবে জনগণের জন্য সম্মানের ও গর্বের বিষয় যে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী ঐ সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছেন বলেই আজ সে বিশ্বের এতো বড় ক্ষমতাসিন দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে সেলফি তুলেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহের সাথে আলচনা করেন। আর এ বিষয়টা নিয়ে যে আলোচনা সমালোচনা জন্ম দিচ্ছে একটা মহল তা কোন মতেই করা উচিত নয়। কারন একটা সময় বাংলাদেশকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সৌদিআরব তারা ভাবতেন না। এখন বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, চীন, দক্ষিন কোরিয়া, ভারত, দুবাই জাতিসংঘসহ ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সব বড় বড় ক্ষমতাসিন দলের নেতারা আজ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর সততার জন্য। তাই একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে এটা আমাদের জন্য অহংকার। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো কোন একটি বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক মহল বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে নিচু বা ছোট করবে বলে ভারতের বাংলা “ দৈনিক আনন্দ বাজার” পত্রিকার সূত্রে জোড় করে বাইডেনের সাথে ছবি তুলেছেন শেখ হাসিনা শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধ্যানে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর করে ছবি তুলেছেন দাবীতে দৈনিক আনন্দ বাজার কোন সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। প্রকৃত পক্ষে গণমাধ্যমটিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিকৃত করে উক্ত দাবিতে প্রকাশ করা হয়েছে। বরং তার পরিবর্তে একই যায়গায় “ চীনের সম্পর্ক আর্থিক হলেও রক্তের বন্ধু ভারত, বার্তা হাসিনার” শীর্ষক একটি সংবাদ দেখা যায়। পাশাপাশি আনন্দ বাজার সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলোতে প্রচারিত সংবাদটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথেও মূল আনন্দ বাজার পত্রিকার ব্যবহৃত ফন্টের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বলা বাহুল্য যে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে হাঁটু গেড়ে বসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান প্রদর্শনের এই ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে অন্য দেশের সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই দৃশ্য বিরল। অনেকের কাছে এটি প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ সম্মান হিসাবেও উল্লেখ করেছেন। এতে কি স্পষ্ট বোঝা যায় না যে প্রধানমন্ত্রী সত্যিই সম্মানের সুযোগ্য। তাই তাকে যে বা যারা যতই অপপ্রচার করে থাকুক তা প্রধানমন্ত্রীর এতটুকুও সম্মানের ঘারতি হবে না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৪৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com