সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহু প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট

বহু প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু

বহু প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির দুয়ার খুলল। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।

• সরকারি পেনশন স্কিমে যেভাবে অংশ নেবেন

শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন- প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি।

মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে।

পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে গতকাল বুধবার। ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যা অঙ্গীকার করি সেটা রাখি। আজকে তার প্রমাণ। শুধু দলের জন্য না, আজকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য করতে যাচ্ছি। সেটাই আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। যারা চাকরি করে না তারা তো পান না। কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, বেতন পান, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী, শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি। এটা করে তারা সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে। যার ফলে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য আছে সেটাও দূর হবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে এলাম, তখন সর্বজনীন মানুষের জন্য কী করতে পারি সেই বিষয়ে চিন্তা করতে থাকলাম। ২০০৮-এ নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থাও খারাপ ছিল। তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করতো।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com