নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে আজ। এটি হবে নতুন সরকার এবং নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। নতুন অর্থমন্ত্রীর মেয়াদকালের প্রথম মুদ্রানীতি কেমন হয় তা নিয়ে সবার মাঝেই আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে যতগুলো মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে তার কোনোটিই এত জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ঘোষিত হয়নি। মুদ্রানীতির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি কেমন হবে তার একটি সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেবার চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে আগামী দিনে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কেমন হবে, বিনিয়োগ পরিস্থিতি কেমন হবে এসব বিষয় মুদ্রানীতির মাধ্যমে ফুটে উঠে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উচ্চ মাত্রার মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্য মতে, সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের মাসে এটা ছিল ৯দশমিক ৪৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে কিন্তু সেই হ্রাস পাবার গতি অত্যন্ত মন্থর। কিন্তু এই মহুূর্তে জরুরি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে আগামীতে দেশ সংকটে পতিত হতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সৃষ্টির অন্যতম সূত্র হচ্ছে প্রবাসীদের প্রেরিতে রেমিটেন্স। কিন্তু কোনোভাবেই রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় সার্ক মার্কেটে মার্কিন ডলারের মূল্য ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি হবার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করছেন। ফলে প্রবাসীদের উপার্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশেই থেকে যাচ্ছে। এই মহুর্তে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারের চাহিদা ও যোগানের উপর ছেড়ে দেয়া হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপার্জিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যতটা জানা যাচ্ছে, এবারও মুদ্রানীতিতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেবার কোনো পরিকল্পনা নেই। মূলত আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাতেই মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ধীরে ধীরে হলেও বাজারভিত্তিক করতে হবে। কৃত্রিমভাবে স্থানীয় মুদ্রা টাকার অতিমূল্যায়ন করে রাখা কোনোভাবেই সুফল দেবে না।
Posted ১:৪১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy