নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ডের (এনএবি) যৌথ আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের তাত্ত্বিক ও বৈশ্বিক কাঠামো এবং বাংলাদেশে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এনএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজার নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১২ নভেম্বর) বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট: ব্রিজিং দ্যা গ্যাপ’শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। পাশাপাশি জাতীয় ও বৈশ্বিক সংস্থার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এনএবির নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজা, বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং এটি নিয়ে কাজ করার জন্য যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণাগত নোট প্রদান করেন। এরপর তিনি অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতি পর্ব পরিচালনা করেন।
বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টকে জনপ্রিয় করতে বিএসইসির উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, বিএসইসি কর্তৃক সাম্প্রতিক টেকসই বন্ডের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিএসইসি দ্বারা অনুসরণ করা ইএসজি অগ্রাধিকার ইস্যু সম্পর্কে কথা বলেন এবং তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলোর স্থায়ীত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে বিএসইসির প্রচেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ভবিষ্যতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জন্য বিএসইসি থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করেন এবং এ বিষয়ে যৌথ সহযোগিতার আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় এনএবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান, জিএসজির হেড অফ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফাই ওয়েচায়াচাই, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম নেদারল্যান্ডের সামাজিক অর্থায়ন বিষয়ক ব্যবস্থাপক লরা ব্রাউনার এবং বিল্ড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এরাদ কাওসার তাদের ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট সংক্রান্ত্র তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
উপস্থাপকরা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জাতীয় কৌশল, দেশ ও বাংলাদেশের উদাহরণসহ ইমপ্যাক্ট ইকোনমিক্সকে ত্বরান্বিত করা, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের জন্য ইন্সট্রুমেন্টস, ইমপ্যাক্ট মেজারিং অ্যান্ড রিপোর্টিং, বিএসইসির বাস্তবায়িত ও চলমান উদ্যোগ এবং এটিকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তোলার চ্যালেঞ্জ এবং উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টকে ব্যবহারকারী বান্ধব করার জন্য সমস্ত জড়িত পক্ষের সমন্বিত পদ্ধতির এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতা দূর করার ওপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সবাইকে একত্রে মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের বিষয়ে বিএসইসির উদ্বেগ ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন এবং প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করার জন্য বিএসইসির প্রতি আইএফসি এবং ইউএনডিপির সাম্প্রতিক যৌথ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
Posted ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy