নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ বৈঠক হয়েছে। তারা পোশাক খাতের সম্ভাবনাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজিএমইএ থেকে জানানো হয়েছে, আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির প্রতিনিধিদল বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আইএমএফের প্রতিনিধিদলে রাহুল আনন্দের সঙ্গে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তারা হলেন—বাংলাদেশ ও ভুটানে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে, ক্রিস পাপাইওরগিও, ডিভিশন চিফ পিয়াপর্ন সোদশ্রিবিবুন, ডেপুটি ডিভিশন চিফ এস্টেল জু লিউ, সিনিয়র ইকোনমিস্ট সিওক হিউন ইউন, সুফাছল সুফাচালশাই ও রিচার্ড ভার্গিস।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক নীলা হোসনে আরা, বিজিএমইএর স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লেবার অ্যান্ড আইএলও অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান আ ন ম সাইফুদ্দিন এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেলের চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ।
বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং দেশের রপ্তানি পারফরম্যান্সের ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যে এই গ্র্যাজুয়েশনের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। এলডিসি-পরবর্তী যুগে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপরও জোর দেওয়া হয় বৈঠকে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান আইএমএফের প্রতিনিধিদলকে পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশল ২০৩০ বিষয়ে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের লক্ষ্য হলো— বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রেখে আরও টেকসই উপায়ে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা।
তিনি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কথা বলেন, যার মধ্যে রয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং সার্কুলার ইকোনমিসহ আরো উৎকর্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চতর প্রবৃদ্ধির রূপকল্পের আলোকে মূল্য সংযোজন আইটেম, বিশেষ করে নন-কটন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ওপর মনোযোগ দিচ্ছে।
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy