নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় দুদকের তলবে হাজির হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে বের হন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত হবো কেন। দুদক আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার তাকে কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সেই বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান। প্রথমে তিনি কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে ড. ইউনূস বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। এটা যেহেতু আইনের বিষয়, এ ব্যাপারে যা বলার তা আইনজীবী বলে দিয়েছেন। আমার কোনো মন্তব্য নেই।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ করিনি। তাই শঙ্কিত হওয়ার কারণও নেই। শঙ্কিত হবো কেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তার বেশি কিছু বলার নেই।
গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।
পরবর্তীতে উপযুক্ত বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য ড. ইউনূসকে তলব করে দুদক। আজ ৫ অক্টোবর তাকে সশরীরে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্যদসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাত ও মানিলন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ৫ অক্টোবর সাড়ে ১২টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানানো হলো।
মঙ্গলবার ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৪ অক্টোবর ও ৫ অক্টোবর ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৭ জনকে তলব করা হয়েছিল। এই তালিকায় রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
Posted ১২:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy