নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
লম্বা সময় ধরে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভিয়েতনামের কফি রপ্তানি। অপর্যাপ্ত সরবরাহ রপ্তানি কমার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা শনিবার এ তথ্য জানায়। খবর ভিয়েতনাম প্লাস।
ভিয়েতনাম বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্তা কফি রপ্তানিকারক। ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে রপ্তানি কমলেও আয়ের ধারা ঊর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি অ্যারাবিকার তুলনায় রোবাস্তার চাহিদা বেশি থাকার কারণেও কফি বাণিজ্যে সুবিধা পাচ্ছে দেশটি।
২০২২-২৩ কফি বর্ষের (অক্টোবর ২০২২-আগস্ট ২০২৩) ১১ মাসে ভিয়েতনাম ১৬ লাখ টন কফি রপ্তানি করে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি ২ শতাংশ কমেছে। উৎপাদন কমেছে ১০-১৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশটির কাছে রপ্তানিযোগ্য কফি সরবরাহ খুবই কম। আগামী নভেম্বর থেকে ফের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে তলানিতে থাকা মজুদের কারণে আগস্টে কফির দাম নতুন রেকর্ড স্পর্শ করে। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৪ ডলারে, যা আগের মাসের তুলনায় ৮ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে কফির গড় দাম ৯ শতাংশ বেড়েছে।
ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটি ১২ লাখ টন কফি রপ্তানি করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে আয় ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় কফি রপ্তানি বাজার জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
দেশটির শুল্ক বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, আগস্টে কফি রপ্তানির পরিমাণ কমে নয় মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। এ সময় ৮৪ হাজার ৬৪৭ টন কফি রপ্তানি করা হয়। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানির পরিমাণ ২২ দশমিক ৩ শতাংশ ও আয় ১৬ শতাংশ কমেছে।
Posted ১:২৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy