নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। এ ঘোষণার প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচকের পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকালে লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৩ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এর পর থেকে অস্থিরতা দেখা গেছে। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূচক মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তবে এর পর থেকেই ছন্দপতন ঘটে পুঁজিবাজারে। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সি পার্ল বিচ রিসোর্টস অ্যান্ড স্পা, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, ফু-ওয়াং ফুড, এমারাল্ড অয়েল ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভিসা নীতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হলেও কাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সে তালিকা প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বেশকিছু নাম এসেছে, যাদের মধ্যে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামও রয়েছে। তাছাড়া সামনের দিনগুলোয় ভিসা নীতির আওতা কতদূর পর্যন্ত বাড়তে পারে সেটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এসব কারণেই গতকাল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। ফ্লোর প্রাইস না থাকলে দরপতন আরো তীব্র হতো বলে মনে করছেন তারা।
ডিএসইতে গতকাল ৫০০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৭৩৫ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৪৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ৮ দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
Posted ১২:৫৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | munny akter