নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বড় দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে গতকাল রোববার ৩১০ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১২টির দর বেড়েছে। দর হারিয়েছে ১৪৮টি এবং বাকি ১৫০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ক্রেতার অভাবে ৮২ কোম্পানির কোনো শেয়ারের কেনাবেচাই হয়নি।
এ দরপতনে আরও ১০ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়ে ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে। এতে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার বেড়ে ২৪০টিতে উন্নীত হয়েছে। যে ১০ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে সেগুলো হলো– পূবালী ব্যাংক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি ওয়েল্ডিং, সিলকো ফার্মা, দেশ গার্মেন্টস, মেট্রো স্পিনিং, মেঘনা কনডেন্সন্ড মিল্ক, নর্দার্ন জুট এবং উসমানিয়া গ্লাস।
এমন দরপতনের পেছনে প্রভাবশালী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের অনেকে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা বলেন, এ খবরের প্রভাবে বাজার কী ধরনের আচরণ করে, তা দেখতে অনেকে লেনদেন পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এতে ক্রয় চাপের তুলনায় বিক্রি চাপ বেড়ে যায় এবং দরপতন শুরু হয়। পরে আতঙ্কে আরও বিক্রি বাড়লে ত্বরান্বিত হয় দরপতন। অধিকাংশ শেয়ারের দরপতনে ডিএসইএক্স সূচক ২৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২৮০ পয়েন্টে নেমেছে, গত ১৬ আগস্টের পর যা একদিনে সর্বোচ্চ পতন।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। গত কিছুদিন ধরে বাড়তে থাকা বীমা খাতেও বড় দরপতন হয়েছে। এদিন তালিকাভুক্ত ৫৭ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির কেনাবেচা হয়েছে, যার ৪৬টিই দর হারিয়েছে। এ খাতের ৫ শেয়ারের দর বৃদ্ধির পরও সার্বিক হিসাবে বীমা খাতের প্রায় আড়াই শতাংশ দরপতন হয়েছে। দরপতনের কারণে ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় লেনদেনেও বড় হয়েছে। ডিএসইতে গতকাল ৫০০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা কম। সর্বাধিক প্রায় ১০৮ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে বীমা খাতে। লেনদেন নেমেছে ২০০ কোটি টাকার নিচে।
দিনব্যাপী দরপতনের মধ্যেও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স নামক কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। এ ছাড়া প্যারামাউন্ট এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের দর যথাক্রমে সোয়া ৫ শতাংশ এবং প্রায় ৪ শতাংশ দর বেড়ে এর পরের অবস্থানে ছিল। বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার পর অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স পৌনে ১২ শতাংশ দর হারিয়ে ছিল দরপতনের শীর্ষে।
যমুনা এডিবল ও এমারেল্ড অয়েলের চুক্তি
উত্তরবঙ্গের রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদক যমুনা এডিবল অয়েলের আছে কারখানা, অভাব চলতি মূলধনের। কারখানাটি সচল করতে জাপান প্রবাসী মিয়া মামুনের কোম্পানি মিনৌরি জোগান দেবে চলতি মূলধনের। উৎপাদিত তেল বিপণন করবে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল। এভাবে উৎপাদন করতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছে এ তিন কোম্পানি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এমারেল্ডের এমডি আফজাল হোসেন, মিনৌরির মিয়া মামুন এবং যমুনা এডিবল অয়েলের এমডি লুৎফর রহমান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যমুনা এডিবলের উৎপাদন ক্ষমতা ৬২০ টন। অন্যদিকে এমারেল্ডের ৩০০ টন। যমুনা এডিবলের উৎপাদিত তেল বিপণন থেকে প্রাপ্ত মুনাফা তিন কোম্পানি ভাগাভাগি করবে। এমারেল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ চুক্তির ফলে তাঁর কোম্পানির ব্যবসা বাড়বে এবং টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে শুধু এমারেল্ড অয়েলের বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা হতে পারে।
Posted ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | munny akter