নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, মুনাফালোভী একটি চক্র আলু মজুত করে দাম বৃদ্ধি করছে। এখানে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কোনো দায় নেই। তবে কারা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সরকার চাইলে সেসব তথ্য আমরা দেবো।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সম্মেলন কক্ষে আলুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজ শেড থেকে আলু বের হয় ১৮ টাকা কেজি দরে। পরে পরিবহন, আড়ত ও খুচরা বিক্রেতাদের খরচসহ সব মিলিয়ে এ আলু ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
বাবু বলেন, আমরা মনে করি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে যারা আলু সংরক্ষণ করেছে তারা মনে করছে আলুর মজুত কম রয়েছে। সে জন্য তারা আলুর দাম বৃদ্ধি করে। ৯ সেপ্টেম্বর সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আলু গত বছরের তুলনায় কম সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যে আলু সংরক্ষিত আছে তা দ্বারা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পর্যাপ্ত আলু থাকবে।
কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, কারা আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, কারা সিন্ডিকেট করে আলু মজুত করছে তাদের তথ্য আমরা বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। এখন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, হিমাগার মালিকদের যে একতরফা দোষারোপ করা হচ্ছে এটা সঠিক নয়, কাংখিত নয় এবং তথ্যবহুল নয়। সরকার আলু মজুতের যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ প্র্যাকটিক্যালি আমরা দেখছি কোল্ড স্টোরেজের ২০ শতাংশ খালি রয়েছে।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু স্লো ছাড়ছে। এটা ওপেন মার্কেট মার্কেট দাম বাড়ছে। কেনো দাম বাড়ছে সেটা সরকারের সংস্থাগুলোকে আমরা বলেছি। এ দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা সরকারকে ভেবে চিনতে করতে হবে। মোবাইল কোর্ট বা হয়রানিমূলকভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy