নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারের প্রসার ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে জাপানে রোড শো অনুষ্ঠিত হয় গত ২৭ এপ্রিল। জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত সেই রোড শোর মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জাপোনের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কামেদা সেইকা কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান ড. লেক রাজ জুনেজা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েলে বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাপানে রোড শো চলাকালে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল ইসলামের সাথে বিনিয়োগের বিষয়ে একান্তভাবে কথা বলেছিলেন ড. লেক রাজ জুনেজা। জাপানের রোড শোতেই মিনোরি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এরপর তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সফরে এসেছেন।
জাপানের এই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েলে ৩০ লাখ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। শেয়ার কেনার জন্য ইতোমধ্যে ড. লেক রাজ জুনেজা বাংলাদেশের একটি বড় ব্রোকারেজ হাউজে বিও হিসাবও খুলেছেন। যার মাধ্যমে তিনি শেয়ার কিনে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে বসবেন। এরপর তিনি কোম্পানিটির উৎপাদনের কাজে বড় বিনিয়োগ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে।
এমারেল্ড অয়েল ছাড়াও তিনি মিনোরী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। সম্প্রতি সাত দিনের ব্যবসায়িক সফরে বাংলাদেশে এসে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেনও।
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সফরের এসে তিনি প্রথমে দ্বীপ জেলা ভোলায় যান। সেখানে বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কৃষিতে যৌথভাবে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের খাদ্য বাজারেও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে কোম্পানিটি। পরে তিনি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ফু ওয়াং ফুডসের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, আমি বাংলাদেশে বার বার আসতে চাই। এমারাল্ড অয়েল ও ফু-ওয়াং ফুডসের ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেছি। প্রতিষ্ঠান দুটি আমার পছন্দ হয়েছে। বাংলাদেশে চাল দিয়ে বিস্কুট তৈরির বিষয়টি আমার মাথায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাল নিয়েই কাজ করি।’ ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপান, ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বাজারে চালের ব্যাবসা করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমি চাল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। এমারেল্ড অয়েল ও মিনোরী বাংলাদেশে লিমেটেডে বিনিয়োগের বিষয়ে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটি পরিদর্শন করে আমার ভালো লেগেছে। তারা ধান-চাল নিয়ে কাজ করে। এতে আমার বিনিয়োগের আগ্রহ আছে।’
এ সময় মিনোরী বাংলাদেশ ও ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেন, জাপান থেকে অনেক বিনিয়োগকারী আমার সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে কামেদা সেইকা অন্যতম।
তিনি বলেন, সেইনকা ইউরোপ-আমেরিকাসহ এশিয়ার অনেক দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা চালকে প্রক্রিয়াজাত করে প্রতি কেজি এক হাজার টাকায়ও বিক্রি করে। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে চাল উৎপাদন হয়। ফলে আমি চাই বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করুক। তারাও আমাকে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করবেন।
Posted ২:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter