নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম বেড়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে ভোজ্যতেলের বাজারদরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে জুনে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম কমে দুই বছরের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এল নিনোসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে ভোজ্যতেলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার ওপর নতুন করে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরীয় খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে বের হয়ে আসায় ওই অঞ্চল থেকে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন থেকে রফতানি আবারো তলানিতে নামতে পারে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রতি মাসেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাদ্যপণ্যের গড় দামের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক তৈরি করা হয়। জুলাইয়ে সূচক দাঁড়িয়েছে ১২৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট। জুনে যা ছিল ১২২ দশমিক ৪ পয়েন্ট।
এদিকে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের দাম প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে ২০২২ সালের মার্চে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক। তবে জুলাইয়ে সে তুলনায় দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
এফএওতে টানা সাত মাস নিম্নমুখী ছিল ভোজ্যতেলের দাম। তবে জুলাইয়ে দাম এর আগের মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে এক মাসের ব্যবধানে সূর্যমুখী তেলের দাম ১৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ইউক্রেনের রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই ভোজ্যতেলটির বাজার চড়া হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ে উদ্বেগ এবং মূল্যবৃদ্ধিও ভোজ্যতেলের বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে ভূমিকা পালন করেছে। অনেক পরিশোধন কেন্দ্র ভোজ্যতেল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদনকে বেশি লাভজনক হিসেবে বিবেচনা করছে।
জুলাইয়ে এফএওতে দানাদার খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। তবে গম ও চালের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে ভুট্টার ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মজুদ বাড়ার আশা জাগিয়েছে। এর ফলে ভুট্টার দাম কমেছে। এর বিপরীতে ইউক্রেনের রফতানি নিয়ে উদ্বেগ এবং উত্তর আমেরিকায় শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব গমের দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় চালের দাম বেড়ে ১২ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে চিনির দাম জুলাইয়ে ৪ শতাংশ কমেছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো পণ্যটির দাম কমল। ব্রাজিল ও ভারত থেকে সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দাম কমাতে সহায়তা করেছে। যদিও এক বছর আগের তুলনায় চিনির দাম ৩০ শতাংশ বেশি। এছাড়া দুগ্ধপণ্য ও মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।
Posted ১২:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter