নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বেশ কয়েক মাস ধরে ব্রয়লার মুরগি, গরু, খাসির মাংসসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সেজন্য সম্প্রতি রেস্তোরাঁয় বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মাংস আমদানির অনুমতি ও খাদ্যপণ্যে শুল্ক কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি মহাসচিব ইমরান হাসান। এ ছাড়া এ সময় সংগঠনের সভাপতি মো. ওসমান গনিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একই স্থানে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৫তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী দুই বছরের জন্য সমিতির সভাপতি ওসমান গনি এবং মহাসচিব ইমরান হাসান পুনর্নির্বাচিত হন। এ সময় ৪১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হাসান বলেন, বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম লাগামহীন। আমিষ জাতীয় পণ্যের মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি। এ কারণে রেস্তোরাঁগুলোতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে পিষ্ট হচ্ছেন মানুষ। কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের বেশি। গত জুনে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে। ফলে বিক্রি ৩০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য যা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো। ফলে প্রায় সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেস্তোরাঁ বন্ধের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকটকালে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। একই সঙ্গে রেস্তোরাঁ মালিকদের গরু-ছাগল ও মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে। এতে এসব পণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে। তাছাড়া করপোরেট খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ইমরান হাসান বলেন, যেসব অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি শুল্ক ছাড় দিয়ে পণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া কর হার কমানোর পাশাপাশি কর আদায়ে নিয়োজিত এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ইমরান হাসান আরও বলেন, ভ্যাট-আদায় বাড়াতে এবং সমপ্রতিযোগিতা নিশ্চিতের জন্য এনবিআরের কাছে সব রেস্তোরাঁয় ইএফডি মেশিন সরবরাহের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও তা নিশ্চিত করা হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু রেস্তারাঁর ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ না করে স্ট্রিট ফুডসহ সব রেস্তোরাঁকে ভ্যাটের আওতায় আনতে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে মনে করেন তিনি
Posted ১২:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter