সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা আছে।

বর্তমানে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ আছে। খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছে না।

রোববার (২ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর এলাকায় নবনির্মিত আঞ্চলিক খাদ্যগুদাম (এলএসডি- লোকাল সাপ্লাই ডিপো) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। নতুন এ এলএসডির ধারণ ক্ষমতা এক হাজার মেট্রিক টন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আটটি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসবের কাজ শেষের দিকে। এতে করে আরও সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি সারাদেশে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার আরও ২০০টি প্যাডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ৩০টির অনুমোদন হয়ে গেছে।

প্যাডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে এলেও তা রাখার সুযোগ থাকছে। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষকের ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না, যোগ করেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঈদের আগে পর্যন্ত সাত লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এখনো ধান-চাল কেনার অভিযান সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। এতে করে বছরে এক কোটি পরিবারের জন্য ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রম চলবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৫ তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় একটি অর্জন হতে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন, বিপণন, সরবরাহসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি আইন সংসদে পাস হবে। এ আইন পাস হলে আশা করা যাচ্ছে, সবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আইন হবে এবং খাদ্যশস্য বিপণন, সংরক্ষণ ও ছাঁটাই বিষয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৫৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com