সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির হোতা সোহেল রানার অবস্থান জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির হোতা সোহেল রানার অবস্থান জানতে চান হাইকোর্ট

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির হোতা ঢাকার বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক সোহেল রানা বর্তমানে কোথায় আছেন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সোহেল রানার সবশেষ অবস্থান ও তাকে ফেরানোর পদক্ষেপ জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সোহেল রানার বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ রাষ্ট্রপক্ষে আর ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার ব্যপারে পদক্ষেপ জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সোহেল রানাকে ভারতের কারাগার আটক ছিলেন। জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রতারিত গ্রাহকরা ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সোহেল রানা বিনা অনুমতিতে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে যান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের কোচবিহারে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হন। অনুপ্রবেশের দায়ে তিন বছর কারাদণ্ড হয় তার। এরপর ভারতের কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

পরে অসুস্থতার কথা বলে কলকাতার হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে আবেদন করে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর জামিন পান। আদালতে ভারতীয় নাগরিক কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেনের ছেলে নূর আলম এবং একই থানার চৌরঙ্গীবাজারের রফিকুল রহমান তার জামিনদার ছিলেন। তবে সোহেল রানা জামিনে বের হয়ে পালান। এরপর ফেব্রুয়ারিতে জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। বাতিল হয় সোহেল রানার জামিন।

এদিকে সোহেল রানা ও তার বোন ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুদুরের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলার তথ্য পেয়েছে ঢাকা টাইমস। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলা।

এর মধ্যে গুলশান থানার পাঁচটি মামলায় সোহেল রানা ও তার বোন-বোনের স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটে অভিুযক্তরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির আরেক পরিচালক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং সাবেক সিও নাজমুল রাসেল। এদের মধ্যে সোহেল রানা, বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক। নাজমুল রাসেল গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে কারামুক্ত হন। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com