সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষ বিবেচনায় আট হাজার কোটি টাকা চায় ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

বিশেষ বিবেচনায় আট হাজার কোটি টাকা চায় ইসলামী ব্যাংক

সার, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ চার খাতে ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছে নিজের গ্রাহকদের পাওনা আট হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আগাম চায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ৷

ভর্তুকি পাওয়ার পর সমন্বয়ের শর্তে এ অর্থ চাওয়া হয়েছে৷ যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আংশিক তহবিল জোগানে সম্মত হয়েছে৷ এতে ইসলামী ব্যাংক কেবল রেমিট্যান্স ও সিএমএসএমই খাতে ভর্তুকির ৪৮৩ কোটি টাকা আগাম নিতে পারবে৷

জানা গেছে, বিশেষ বিবেচনায় তারল্য সুবিধার অনুরোধ জানিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি লেখেন ইসলামী ব্যাংকের এমডি৷ চিঠিতে বলা হয়, দেশে বিরাজমান মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমায় ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাহিদা বেড়েছে৷ আবার মানুষের হাতে নগদ টাকা ধরে রাখার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ ফলে ব্যাংক খাতে নগদ প্রবাহে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে৷

বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংককে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহকের নগদ টাকার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিধিবদ্ধ তারল্য সঞ্চিতি সংরক্ষণে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে৷ তারপরও দেশের সবচেয়ে বড় আমানতের ব্যাংক হওয়ায় গ্রাহকের নগদ উত্তোলন চাহিদা পূরণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ শরিয়াহ ব্যাংক হওয়ায় পদ্ধতিগত কারণে ইসলামী ব্যাংক যে কোনো মাধ্যম থেকে নগদ অর্থ নিতে পারে না৷ পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন৷

চিঠিতে কোন খাতে কী পরিমাণ ভর্তুকির টাকা পাওনা রয়েছে, তা উল্লেখ করে বলা হয়, ২০২২ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দপত্রের আলোকে ব্যাংকটি ৭১ কোটি ২১ লাখ ডলারের ৪৫টি এলসি খুলেছে৷ এর বিপরীতে গ্রাহক ভর্তুকি বাবদ সাত হাজার ৭৪ কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে৷ গ্রাহক টাকা পেলে তাদের এখানে সমন্বয় হবে৷ একইভাবে ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থায়নের বিপরীতে ব্যাংকটির পাওনা ৪০০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা৷ করোনা সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় ব্যাংকটি পাবে ১৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা৷ এ ছাড়া রেমিট্যান্সের বিপরীতে ভর্তুকির ৩৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাবে ব্যাংকটি৷

নিয়ম অনুযায়ী, রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ সহায়তা গ্রাহককে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করে ব্যাংক৷ আর আর্থিক প্রণোদনার আওতায় সরকারি সুদ ভর্তুকির টাকা প্রথমে ব্যাংক বহন করে৷ ব্যাংকগুলো আবেদন করার পর নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে সরকার থেকে এ অর্থ পায়৷ এ জন্য বেশ সময় লাগে৷ সরকার ও বিদ্যুৎ-জ্বালানির ভর্তুকির টাকা আগাম চাওয়া হলেও দেওয়ার প্রক্রিয়া বেশ জটিল৷ যে কারণে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে শুধু রেমিট্যান্স এবং সিএমএসএমই খাতে ভর্তুকির টাকা আগাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এর আগে রেপোর আদলে সুকুক বন্ড লিয়েনে রেখে শরিয়াহ ব্যাংকগুলোকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুযোগ দেওয়া হয়৷

এর আগে এ বছরের শুরুতে আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককের কাছ থেকে আট হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার পায়৷ ব্যাংকটির তারল্য পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা কাটাতে সুদভিত্তিক টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com