নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং অস্বাভাবিক পণ্যমূল্য ও মজুত প্রতিরোধে ১৯৫৬ সালে করা অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনকে যুগোপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের অধিবেশন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকরা কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, মন্ত্রণালয় থেকে মূলত সে প্রস্তাবনা ছিল। এ বিষয়ে তারা (জেলা প্রশাসকরা) জানিয়েছেন ১৯৫৬ সালের অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন অনেক পুরনো। সেই আইনে যেসব পণ্যের উল্লেখ রয়েছে সে তালিকাও যথার্থ নয়। আইনটি আপডেট করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
আহসানুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। অচিরেই আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে একটি মিটিং করে এ আইনকে কীভাবে যুগোপযোগী করা যায় সেটি করবো। পণ্যের তালিকা কীভাবে বড় করা যায়, সেটা করবো।
তিনি বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়। টিসিবির কার্ডধারীদের তালিকা করোনার সময় করা, সেটি আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে এ তালিকা সংযোজন ও বিয়োজন করে যেন নতুন তালিকা দেওয়া হয়, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। তারা (ভারত) কীভাবে কখন পণ্য দেবে সেটা আজ আমরা পরিষ্কার জানতে পারবো। তবে পণ্য রোজার আগেই আসছে।
পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের মূল্য কৃষক পেলে তারা উৎপাদন বাড়াবে। এখন হাটে-ঘাটে কৃষকরা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম পাচ্ছে। যা গত বছর অর্ধেক ছিল। ভালো দাম পাওয়ায় আগামী বছর কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে আরও আগ্রহী হবে। অন্য পণ্যগুলোর দামও কিছুটা বেশি, সে কারণেও পেঁয়াজের বাজার কিছুটা চড়া।
Posted ২:২৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy