নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিড তৈরির অত্যাবশকীয় পণ্য সয়াবিন মিলের ওপর আরোপিত শুল্ক-কর মওকুফ করেছে সরকার। এর ফলে কাঁচামাল হিসাবে ‘সয়াবিল মিল’ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর দিতে হবে না। তবে শুধুমাত্র ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হবে। এর ফলে বাজারে বিদ্যমান পশুখাদ্যের দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে ২০২০ সনের ৩ জুন তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে এস. আর. ও. নম্বর ১২৮-আইন/২০২০/৭৯/কাস্টমস এর সংশোধন করে শুল্ক-কর অব্যাহতির তালিকায় সায়বিন মিল সংযুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সয়াবিন মিল হচ্ছে পোল্ট্রি ও গো-খাদ্যের ব্যবহৃত কাঁচামাল, যা সয়াবিন উৎপাদনের পর অবশিষ্টাংশ। পশুখাদ্যে ২৮-৩০ শতাংশ ওই পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের (বাফিটা) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন খাঁন বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি শিল্পের খাদ্য তৈরির কাঁচামালসমূহের দাম দেশিও এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দেশ আবার উৎপাদনও বন্ধ করে দিয়েছিল। খাদ্য উপকরণের উর্ধগতির কারণে অনেক ফিড মিল ও ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। পোল্ট্রি শিল্পে পোল্ট্রি, মৎস ও পশুখাদ্য উৎপাদনে (সয়াবিন মিল )একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। পণ্যটির বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় এবং অনেক পরিমাণ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশ সরকার পণ্যটি দীর্ঘদিন রেয়াতী সুবিধা দিয়ে আসছিল। শুধু নামের তারতম্য থাকার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে গত ৪ মাস যারা সয়াবিন মিল আমদানি করেছেন তাদের অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবেন। এর ফলে সয়াবিন মিলের দাম কমবে এবং সেই সাথে ফিডের দাম কমবে বলে আশা করছি।
Posted ১:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy