নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
উত্তরের জেলা দিনাজপুর। প্রায় সবধরনের ফসল উৎপাদন হয় এ জেলায়। কাটারিভোগ ধান ও লিচুর জন্য সারাদেশেই বেশ নাম ডাক রয়েছে এই জেলার। তবে এবার মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় উৎপাদিত আলু।
আলু রপ্তানি করতে পারায় লাভের মুখ দেখছেন এ উপজেলার কৃষকরা। ব্যস্ততার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আয়ও বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে এবার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার টন আলু বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে দ্বিতীয় বছরের মতো কাজ করছে কৃষিবিভাগ।
এ বছর ইতোমধ্যে একশ টন আলু রপ্তানি হয়েছে। উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক জমি থেকেই প্রতি কেজি আলু ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে রপ্তানির জন্য বিক্রি করছেন।
কথা হলে হোসেনপুর গ্রামের কয়েকজন আলু চাষি জানান, আমরা সাগিতা, গ্রানুলা, সানসাইন, কুমরিকা, সেভেন জাতের আলু উৎপাদন করছি। উৎপাদিত এসব আলু দেশের চাহিদা মিটিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু করেছে কৃষিবিভাগ। এতে আমরা অনেক খুশি। আলুর দাম ও বিক্রি করা নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। আবহাওয়া ভালো থাকায় সার-কীটনাশক কম লেগেছে। ফলনও ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, খানসামা উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী। কন্দাল (আলু, মিষ্টি আলু, কচু, গাজর, মুলা) ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। আর গত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিদেশে আলুর চাহিদা বেড়েছে। আলু রপ্তানি করতে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কৃষকদের যোগসূত্র স্থাপনে কৃষিবিভাগ কাজ করছে। কৃষকরা আলু বিদেশে রপ্তানি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।
Posted ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy