নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ডলার রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ কমে ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এদিন প্রকৃত রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আকুর বিল ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন (১৩১ কোটি) ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দেশের রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৬১ কোটি ডলার (২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) ডলার। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশে প্রকৃত রিজার্ভের ৬১০ ডলার বাদ দিলে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে গড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেশ কিছু বিষয়ে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখতে হবে। কিন্তু এখন রিজার্ভ আছে মাত্র ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত জুলাই মাসে (মে ও জুন সময়ের বিল) আমদানি দায় বাবদ ১০৯ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। একই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাংক। দেশে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলারে নেমে যায়।
Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy