নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার কারণে কেনাবেচা হয় না। এমন শেয়ার মোটের ৫৮ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসের ওপরে বাকি ৪২ শতাংশ শেয়ার থাকলেও ২০ থেকে ২৫টি শেয়ার ঘিরে লেনদেন আবর্তিত হচ্ছে। এর মধ্যেই কিছু শেয়ারের দরে হঠাৎ উল্লম্ফন হচ্ছে। তবে এক দিন বাড়লে পরের তিন দিন পতন হচ্ছে। অথচ সার্বিকভাবে বাজারে মন্দা পরিস্থিতি চলছে।
গতকাল ডিএসইতে দর ওঠানামায় সার্বিক মিশ্রধারার মধ্যে চার কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়। এগুলো হলো– আরামিট সিমেন্ট, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিক, ওইম্যাপ ইলেক্ট্রোড এবং এসকে ট্রিমস। এ ধরনের কিছু শেয়ারের দর এভাবে মাঝেমধ্যেই হুট করে এক দিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। কিন্তু পরে আবার দর হারায়।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, কয়েক মাস ধরে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। ২ থেকে ৩ দিনে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দর বাড়ানোর নজির রয়েছে। কিছু শেয়ার হঠাৎ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচার পর দিনই দর হারাতে দেখা গেছে। দরবৃদ্ধির দিনে আরও দর বাড়তে পারে এমন আশায় কিছু বিনিয়োগকারী ওই শেয়ার কেনেন। যারা এমন ভেবে শেয়ার কেনেন, তারা লোকসানে পড়েন। যেমন– গতকাল ওইম্যাপ ইলেক্ট্রোডের দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ২১ টাকায় কেনাবেচা হয়। গত ১৮ এপ্রিল থেকে ৪ জুন সময়কালের দেড় মাসে এর দর প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ২৮ টাকায় ওঠে। এর পর থেমে থেমে দরপতনে গত ১৬ আগস্ট ১৮ টাকা পর্যন্ত নামে। মাঝে ১৯ জুলাইও প্রায় ২০ শতাংশ দর বেড়ে ২৫ টাকায় ওঠে। এর পর দিন থেকে ফের দরপতন হয়।
একই চিত্র দেখা যায় আরামিট সিমেন্টের ক্ষেত্রে। গত মে থেকে জুলাই মাসে অন্তত ছয় দফায় হুট করে এর দর বেড়েছে। প্রত্যেকবার দরবৃদ্ধির পর ফের দরপতন হয়েছে। নতুন করে গত ২০ আগস্ট থেকে দরবৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ২২ টাকা ২০ পয়সা থেকে শুরু করে গত পাঁচ দিনে দর বেড়ে ২৮ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছে। বেঙ্গল উইন্ডসর, এসকে ট্রিমসসহ অন্য একই শেয়ারে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দরবৃদ্ধির দিনে বিনিয়োগকারীদের এ শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ থাকার দিনে বড় অঙ্কের লেনদেন হয়।
এভাবে অল্প কিছু শেয়ারের দরে বেশ উত্থান-পতন হলেও সার্বিকভাবে পুরো শেয়ারবাজার মন্দায় রয়েছে। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩১৪ শেয়ারের মধ্যে ৭৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত বা ফ্লোর প্রাইসে ছিল ১৬৪টি। ক্রেতার অভাবে এদিন ৭৮ কোম্পানির কোনো শেয়ার কেনাবেচা হয়নি। ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৮০ পয়েন্টে উঠেছে। লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি টাকার শেয়ার।
Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter