নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের খোলা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এক লাফে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
সাতক্ষীরার বড় বাজারে আসা করিম নামের এক ক্রেতা বলেন, গত তিন দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৫৫ টাকা কেজি। আজকে সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে পেঁয়াজের দাম। ভারত সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত বেশ বিভ্রান্তিকর।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস আর ইন্টারন্যাশনালের মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। পেঁয়াজের ওপর ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপের কারণে সাতক্ষীরাসহ দেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৃষ্টি ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী দিপু রায় জানান, পেঁয়াজের ওপর ভারতের শুল্ক নির্ধারণের আগে দেশে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। তবে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের পর রোববার (২০ আগস্ট) আমদানি হয়েছে মাত্র ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ। শুল্ক নির্ধারণের আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এখন সেটার দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ টাকা।
ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি করতে চায় না। সে কারণে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক আরোপ করেছে। এতে শুধু ভোমরা বন্দরে নয় সারা দেশেই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। দাম অনেক বেড়ে যাবে। ভারত সরকার এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক নিবে ৪ রুপি। অর্থাৎ টাকার হিসেবে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখনই বাংলাদেশ সরকারকে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য দেশি পেঁয়াজের থেকেও বেশি হয়ে যাবে। তখন আমদানি বন্ধ করে দেবে আমদানিকারকরা। এতে আরও অস্থিরতা দেখা দেবে।
অন্যদিকে, আকস্মিক পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে খোলা বাজারে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা। আগে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৫০-৫৫ টাকায় সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। অথচ আগে বিক্রি হচ্ছিল ৬৫-৭০ টাকায়।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচামাল সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বাবু বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। এজন্য ভোক্তারা ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এদিকে ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর প্রথমবারের মতো শুল্ক বৃদ্ধি করেছে যার প্রভাব পড়ছে খোলা বাজার পর্যন্ত।
Posted ১২:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter