নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিএসইসি ও ডিএসইর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির এসএমএমআই বিভাগ, সার্ভেইল্যান্স বিভাগ ও রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্সিং বিভাগের সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ওই সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যই ডিএসইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে ডিএসই সূত্র বলেছে।
বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নীতিগত জিজ্ঞাসা বা সহায়তা পেতে নির্মিত ডিএসই কর্তৃক কমিশনের সিএমআরআরসি বিভাগে পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে এসএমএমআই বিভাগকেও অনুলিপি প্রদান করতে হবে। যেন এসএমএমআই বিভাগ কর্তৃক ফলো আপ করা সম্ভব হয়।
ডিএসই কর্তৃক এমআইএ ডিভিশনের কাজের সাথে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট ডেস্কসমূহের অফিসারদের তালিকা এমআইএ ডিভিশনে প্রেরণ করতে হবে। ডেস্কসমূহে অফিসারদের দায়িত্বে পরিবর্তন আসলে ডিএসই সে অনুযায়ী হালানাগদ তথ্য এমআইএডি ডিভিশনে প্রেরণ করতে হবে।
ডিএসইতে সংরক্ষিত অনুমোদিত প্রতিনিধিদের লাইভ ডাটাবেইজ শুধুমাত্র সংস্থাটির অভ্যন্তরীন ব্যবহারকারীদের জন্য খোলা রয়েছে। এ ডাটাবেইজে ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাবলিক ইনফরমেশনে রুপান্তর করতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমাকৃত অর্থ এবং বিও হিসাবে রক্ষিত সিকিউরিটিজ এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্রোকার ও ডিলারদের অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালুর বিষয়ে সফটওয়্যার সরবরাহকারীদের তালিকাভুক্তিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দেয় বিএসইসি। ৩১ মে তারিখের মধ্যে এই সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। ফলে চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই এ প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি কোন বিষয়ে ডিএসইর কাছে জানতে চাইলে ডিএসই যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য কমিশনকে জানাবে। যদি ওই বিষয়ে ডিএসই কোন কিছু না জানে সেটিও বিএসইসিকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে আইনের কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন হলেও তা বিএসইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
ডিফল্টার এবং আনউইলিং টেক হোল্ডার কোম্পানিগুলোর বিষয়ে বিএসইসি এবং ডিএসই সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রয়োজনে আদালত, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও কর্মতৎপরতার মাধ্যমে সমাধানের পথ নিরুপণ করা হবে- এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ট্রেক হোল্ডারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব সার্বক্ষনিক তদারকির জন্য ব্যবহৃত অনলাইন মডিউলের এক্সেস এমআইএডি ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রদান করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রেক নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছরে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছে বিএসইসি।
Posted ১২:৩৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter