নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ডিম কেনাবেচায় রসিদ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীদের অবশ্যই উৎপাদক ও পাইকারি বিক্রেতাদের থেকে ডিম কেনার রসিদ সংগ্রহ করে দোকানে রাখতে হবে। এখন থেকে রসিদ ছাড়া ডিম বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’
সোমবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও করপোরেট), এজেন্ট-ডিলার ও ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ডিম উৎপাদক থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রিতারা যদি পাকা রসিদ ব্যবহার করেন, তাহলে আমরা তদারকি করতে পারি কত টাকায় ডিম ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। কিন্তু এই পাকা রসিদ ব্যবহার না করার কারণে দাম বাড়ার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করছে। এই বিশৃঙ্খলা রোধ করার বড় সমাধান হতে পারে পাকা রসিদ ব্যবহার।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা শুধু পাকা রসিদটা নিশ্চিত করতে চাই। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে যেখানে পাকা রসিদ পাওয়া যাবে না, সেখানে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১২টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে কি না, সেটি তদারকিতে ওই দিন থেকে আমরা মাঠে আরও জোরদারভাবে কাজ করব।’
ডিম উৎপাদনকারী বড় বড় যে ৫-৬টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোকে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে প্রতিদিন সকাল বেলা ডিম বিক্রির তথ্য ভোক্তা অধিদপ্তরকে দেওয়ার আহ্বান জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের আমিষের মূল চাহিদা পূরণ করছে ডিম এবং বয়লার মুরগি। কিন্তু এই খাতে প্রচুর অস্থিরতা বিরাজ করছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে। এজন্য ক্ষুদ্র খামারিদের ১৫ শতাংশের ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই খাতে শৃঙ্খলা আসা প্রয়োজন।’
ডিম আমদানির সুযোগ রয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন আমরা যদি বর্ডার খুলে দেই এবং ভারত থেকে ৬ রুপিতে ডিম আসে, তাহলে দেশে একটি পোল্ট্রিও টিকতে পারবে না, একটি করপোরেট গ্রুপও কম্পিটিশন করতে পারবে না। আমরা আপনাদের (ব্যবসায়ী) ততক্ষণ প্রোটেকশন দেব, যতক্ষণ আপনারা বাজার অস্থির করবেন না। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে যদি ডিম প্রতি ৪ টাকা বেড়ে যায়, তাহলে তো প্রোটেকশন দেব না। কারণ সরকারকে ব্যবসায়ীদের প্রোটেকশন দেওয়ার পাশাপাশি ১৭ কোটি মানুষের কথাও ভাবতে হয়।’
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর আহমেদ ইকরামুল্লাহ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র অতিরিক্ত মহাসচিব শাহ মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শহীদুল আলম, তেঁজগাও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, পিপলস পোল্ট্রি ফার্ম অ্যান্ড হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল রহমান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy