নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৮ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বাজারে নিজেদের বিদ্যমান কয়েকটি পণ্যের বর্ধিত চাহিদা মেটানো এবং নতুন পণ্য বাজারে আনার লক্ষ্যে এবার ইউরো ফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চুক্তি (চুক্তিভিত্তিক পণ্য উৎপাদন) করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। এরই মধ্যে চুক্তির বিষয়টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পর্ষদে অনুমোদন হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ইউরো ফার্মার কারখানায় নিজেদের প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদন করিয়ে নেবে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এক মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে বিষয়টি জানিয়েছে ওষুধ খাতের কোম্পানিটি।
এর আগে অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চুক্তি করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ চুক্তির আওতায় অ্যারিস্টোফার্মা তালিকাভুক্ত কোম্পনিটির জন্য সেফালোস্পোরিন গ্রুপের পাঁচটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করবে। এ বিষয়ে কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তাদের কারখানায় সেফালোস্পোরিনের বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ ওষুধের বাড়তি চাহিদাও রয়েছে, যা তাদের বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা দিয়ে মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ওষুধের চাহিদা একটি পর্যায়ে না গেলে নতুন ইউনিট স্থাপন করাও লাভজনক হবে না। এ কারণে সেফালোস্পোরিন গ্রুপের পাঁচটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনের জন্য এ কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চুক্তি হয়েছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নিট আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ হাজার ৩৭২ কোটি ২২ লাখ টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪২১ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির নিট আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৩৩ পয়সায়।
Posted ১:৪৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter