নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
মালয়েশিয়ায় গত মাসে পাম অয়েলের মজুদ বেড়ে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। এ সময় পণ্যটির রফতানি বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মজুদ বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রয়টার্স ১০ জন ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকের মতামতের ওপর ভিত্তি করে এ সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, টানা তৃতীয় মাসের মতো পাম অয়েলের মজুদ বাড়ল। জুনের তুলনায় মজুদ ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১৭ লাখ ৯০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। জুলাইয়ে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর এটি সর্বোচ্চ উৎপাদন।
জাকার্তাভিত্তিক ডিবিএস ভাইকার্স সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক উইলিয়াম সিমাপুত্র বলেন, ‘মৌসুমি উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে জুলাইয়ে পাম অয়েলের মজুদ বেড়েছে। পণ্যটির রফতানি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৭০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।’
আগামী বছর সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় পাম অয়েলের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে শীর্ষ দেশগুলোয় ওই বছর পাম অয়েল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইউওবি কেইহান আগামী বছরের জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েলের গড় বিক্রয় মূল্য বাড়িয়ে টনপ্রতি ৪ হাজার ২০০ রিঙ্গিত বা ৯২১ ডলার নির্ধারণ করেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী বছরের জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েলের গড় বিক্রয় মূল্য ৪ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়াসংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে আগামী বছর পাম অয়েল সরবরাহ আশঙ্কাজনকভাবে ব্যাহত হতে পারে। এ কারণেই মূলত পণ্যটির মূল্য পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে।
ইউওবি কেইহান জানায়, আগামী বছর বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহ প্রবৃদ্ধি এক বছরের ব্যবধানে দশমিক ৮ শতাংশ নিম্নমুখী হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে, চলতি বছর যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বছর সরবরাহ বাড়ায় মজুদ কমে যাবে। সে কারণেই আগামী বছর সরবরাহের পরিমাণ নিম্নমুখী হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, পাম অয়েল উৎপাদক অঞ্চলগুলোয় এল নিনো এখনো পুরোপুরিভাবে আঘাত হানেনি। অনেক দেশে এখনো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এসব দেশে শুষ্ক আবহাওয়া দেখা দিলেই সরবরাহ কমতে শুরু করবে। এল নিনোর কারণে উৎপাদন অপরিবর্তিত বা কমতে পারে।
এদিকে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে উত্তর আমেরিকার কৃষি উৎপাদনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। কানাডায় ব্যাহত হতে পারে ক্যানোলা (এক ধরনের তেলবীজ) উৎপাদনও। এতে পাম অয়েলের ওপর চাপ বাড়বে।
Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter