সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করমুক্ত আয়ের সীমা ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব আইসিএমএবি’র

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

করমুক্ত আয়ের সীমা ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব আইসিএমএবি’র

সকল প্রকার কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কর আরোপনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে কয়েকটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আয়োজিত এক প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন তাগিদ দেওয়া হয়।

রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় দ্য ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), আইসিএসবি, আইসিএবি, আইএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রোফেশনাল ফোরাম, ইরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতৃবৃন্দ।

ডিজিটাল ইকোনমির আয়ের ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে কর ধার্যের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশি কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে ও তা তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে। এর ফলে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর দিতে বাধ্য থাকবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাল-ডাল-আটা-ময়দাসহ সব কৃষি পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ হারে কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এ সময় পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেন, অর্থবছর শেষ হওয়ার পর আয়কর আইনের শর্ত শিথিল বা সুবিধা দিলে তা করদাতাদের খুব বেশি কাজে আসে না। এছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূলধনের ওপর ঋণ প্রাপ্তির সীমা বেধে দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়।

রাজস্ব আহরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কথাও বলেন নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর না চাপিয়ে ধীরে ধীরে সহনীয়ভাবে পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com