নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
শেয়ারবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস (ট্রেক নম্বর- ৭৯) পিএফআই সিকিউরিটিজের স্টক-ডিলার এবং স্টক-ব্রোকার নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ২৮ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি থাকায় প্রতিষ্ঠান ২টির নিবন্ধন সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
মন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ২৮ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি থাকায় পিএফআই সিকিউরিটিজের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নবায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন সনদ নবায়ন করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আবেদন জানালেও তা গ্রহণ করা হয়নি। সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) প্রতিষ্ঠানটির ২৮ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বেলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
পিএফআই সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি দীর্ঘদিনের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হলেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি পূরণ করেনি।
এমন পরিস্থিতিতেও বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী ফরিদউদ্দিন আহমেদ বরাবর পাঠানো বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের অনুকূলে স্টক-ডিলার এবং স্টক-ব্রোকার নিবন্ধন নবায়ন করার অবস্থানে নেই। কারণ ২১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকের পাওনা হিসাবে ২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে ১৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ কারণে নবায়নের যে আবেদন করা হয়েছে তা গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২০তম কমিশন সভায় পিএফআই সিকিউরিটিজ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি পূরণের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজটির পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধ এবং সব বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিএফআই সিকিউরিটিজের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ যে ঘাটতি দেখা গেছে সেটা তারা পূরণ করেছে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। তাই ঘাটতি থাকায় তাদের নিবন্ধন নবায়ন করা হয়নি।”
এদিকে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ফরিদউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Posted ৩:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
desharthonity.com | Rina Sristy