নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
চলতি বছর হজযাত্রীদের খরচ কমানো কিংবা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধনের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলে তিনি।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় একটি প্যাকেজ রাখা হয়েছে। এবার সরকারি প্যাকেজে হজযাত্রায় খরচ হবে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা।
বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রার সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলেও কোটা পূরণ হয়নি।
এদিকে হজযাত্রার খরচ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে গত ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কুরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠান।
পরে আদালত হজের খরচ বাড়ার কারণ বিস্তারিত জানাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
রিটে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকিটে হজে যাওয়ার অনুমতি দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষিত হজ প্যাকেজকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বাজেট রাখে। কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। হজের প্যাকেজমূল্য অনেক বেশি হওয়ায় আমরাই হজে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আর সেখানে গরিব মানুষ কীভাবে যাবে।’
এ বিষয়ে বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে জানায়, ডলারের দাম, বিমান ভাড়া, বাসা ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাড়ায় হজ প্যাকেজের খরচ বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন।
Posted ৩:৫৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy