মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেট করে ডিমে কারসাজি করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট

সিন্ডিকেট করে ডিমে কারসাজি করা হয়

সারা দেশে কর্পোরেট কোম্পানি ও আড়ৎদারদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানো-কমানো হয়। ফলে প্রান্তিক খামারিরা ডিম উৎপাদনের জন্য যে খরচ করেন সেটি তুলতে পারেন না। আবার একচেটিয়া সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তাদের ডিম কিনতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।

শনিবার (২৫ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সারা দেশে হঠাৎ করেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির কারসাজি। কেননা তারাই সারা দেশের ডিমের বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন করতে খামারির খরচ হয় সাড়ে ৯টাকা থেকে সাড়ে ১০ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে সাড়ে ১২ টাকা। আমরা ডিমের এই দাম যৌক্তিক বলে মনে করছি। এখন ডিমের বাজার স্থির থাকায় উৎপাদক (খামারি) ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে এবং ভোক্তাও ন্যায্যমূল্যে ডিম কিনে খেতে পারছে। কিন্তু ডিম ব্যবসায়ী সমিতি এবং কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে মাঝে মধ্যে বাজার অস্থির হয়ে যায়। খামারিরা তখন ডিম উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না।

যেভাবে নির্ধারণ করা হয় ডিমের দাম

সুমন হাওলাদার বলেন, দেশের ডিমের বাজারের নিয়ন্ত্রণ আড়ৎদার এবং কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। তারা যখন ইচ্ছা দাম বাড়ান আবার যখন ইচ্ছা হয় তখন দাম কমান। যেমন- হঠাৎ করেই খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১০-২০ টাকা কমিয়ে ৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আবার হঠাৎ করেই ১টি ডিমের দাম ১৩ টাকা হয়ে যায়।

তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ও ফেসবুকে পোস্ট করে ডিমের বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। আর সারাদেশেই এই দামে বেচাকেনা হয়।

সিন্ডিকেট নিজেদের ইচ্ছেমতো ডিমের দাম কমিয়ে কোল্ড স্টোরেজে জমা করে। পরবর্তী সময়ে সেই ডিমই আবার বাড়তি দামে বিক্রি করা হয়। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা থেকে সরে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি মাসে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি খামারিদের গলা কাটছে।

তাই এসব সংকট নিরসন করতে কর্পোরেট কোম্পানি, আড়ৎদারের পোলট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা ও ডিমের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিপিএর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সভাপতি চাষি মামুন, বিপিএর সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার এবং প্রান্তিক খামারিরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:১৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com