সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৫৬০০ কোটি টাকা দেবে জাইকা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৫৬০০ কোটি টাকা দেবে জাইকা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (তৃতীয় কিস্তি) জন্য ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েনের সমপরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এ ঋণচুক্তি করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং (টার্মিনাল ৩), নতুন কার্গো কমপ্লেক্স ও বহুস্তরবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া, এ ঋণের অধীনে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট মোডের সঙ্গে যোগাযোগ, পয়ঃনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মতো আনুষঙ্গিক খাতে অর্থায়ন করা হবে।

বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিমান ও কার্গো চলাচলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ হবে। এর ফলে বিমানবন্দরে প্রবেশ ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ব্যবহার করা আরও বেশি আরামদায়ক হবে এবং বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।

এ ঋণচুক্তিতে সিভিল ওয়ার্কসের জন্য বাৎসরিক ১.৩০ শতাংশ সুদহার ও পরামর্শ সেবার জন্য ০.২০ শতাংশ সুদহারের মতো সহজ শর্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বছর।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হচ্ছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এটি কেবল ক্রমবর্ধমান চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে।’

দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামাঞ্জস্য বজায় রেখে জাপান সরকার কর্তৃক অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ ও অনুদান সহায়তা হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩১.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com