নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাজারে নতুন আলু আসার পরে কয়েক সপ্তাহ ব্যবধানে দাম প্রতিকেজি ৬০ টাকায় নেমেছিলো। এখন আবারও বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। বাজারে এখন প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে নতুন আসা গ্রানুলা (সাদা আলু) ও কার্ডিনাল (লাল আলু) উভয় জাতের আলুর দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে এখন সাদা নতুন আলু-ই বেশি। কিছু দোকানে পুরনো আলু পাওয়া যাচ্ছে, পুরোনো আলু এখনও বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। পুরনো আলুর দামও আগের তুলনায় ১০ টাকা বেশি।
বাজারে সাধারণত গ্র্যানুলা ও কার্ডিনাল জাতের আলু দেখা যায়। সাদা ও লাল উভয় জাতের আলুর দামে বড় কোনো পার্থক্য নেই। কার্ডিনাল আলু ডায়মন্ড আলু নামেও পরিচিত।
এদিকে বগুড়া অঞ্চলের পাকড়ি জাতের ছোট আলুর দাম আরও বেশি। এ ধরণের আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এসব আলুর দাম সাধারণ জাতের থেকে সব সময় বেশি থাকে।
বিক্রেতারা বলছেন, নতুন আলু আসার পরও এখনও আলুর বাজার চড়া, যে ধরনের পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এক সপ্তাহ আগে দাম কমে ৬০ টাকায় নেমেছিলো। গত দুদিন ধরে আবারও বাড়ছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপর আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আলু আমদানির জন্য দেওয়া অনুমতিপত্রের (আইপি) মেয়াদ গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার ৩ লাখ ৬ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতিপত্র দিলেও এ পর্যন্ত দেশে আলু এসেছে ৬২ হাজার টন।
আলু আমদানি না হওয়া এবং আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ার কারণে বাজারে আলুর সরবরাহ কম, যে কারণে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।
এদিকে কিছুদিন আগে ঘূর্নিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দেশে টানা দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে দেশের মুন্সিগঞ্জে রোপন করা বেশিরভাগ আলুর জমি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এমনিতেই দেশে আলুর সংকট, এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের আলুর ক্ষতিরও একটি বড় প্রভাব বাজারে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা আলুর ব্যবসায়ীরা।
ওই সময় কৃষি অধিদপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবোর্চ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমির মধ্যে ১২ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া নরসিংদী, মানিকগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ৮৭৭ হেক্টর জমির আলুর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে আলুর দাম প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য পড়ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা। এছাড়া পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত।
Posted ২:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy