নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
আইন অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপি গ্রাহকের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। এ কারণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ব্যাংকঋণের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’র ১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। এর ফলে কেউ খেলাপি হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। অতীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়মিত করার নিয়ম ছিল। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ব্যাংকঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয়। এরপর ঋণখেলাপি সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয় চলতি বছর জুলাইয়ে।
নতুন আইনে, মনোনয়নপত্র জমার একদিন আগে খেলাপিঋণ পরিশোধ করলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছাড় দেওয়ার কারণে ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সহজ হয়েছে। ভোটে দাঁড়াতে আগের মতো ১০ শতাংশ নগদ অর্থ জমা দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করতে হচ্ছে না। এখন অনেক কম অর্থ জমা দিলেই হয়। আবার, ঋণ পুনঃতফসিলের প্রস্তাবও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো যে যার মতো করে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে দিচ্ছে।
Posted ১:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy