নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র আগামী ১৫ বছর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার পেট্রোবাংলার সঙ্গে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের চুক্তিসই অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
দেশে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ বাড়াতে এক্সিলারেট এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে তিন চুক্তি সই করেছে পেট্রোবাংলা।
চুক্তি অনুযায়ী, এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশকে বছরে ১০ লাখ টন এলএনজি সরবরাহ করবে। আগামী ২০৪০ সাল পর্যন্ত মার্কিন কোম্পানিটি থেকে এলএনজি পাবে বাংলাদেশ।
এলএনজির এই চুক্তির কারণে খুব কম খরচে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে জানিয়ে পিটার হাস বলেন, দু-দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
পিটার হাস আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে, যা বৈদেশিক বিনিয়োগের মধ্যে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, সেটা আমরা এগিয়ে নিতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
১৫ বছর মেয়াদি এ চুক্তি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ ও ২০২৭ সালে বছরে ৮.৫ লাখ টন এবং পরবর্তীতে ১০ লাখ টন করে এলএনজি সরবরাহ করবে বাংলাদেশকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, এক্সিলারেট এনার্জি প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস প্রমুখ।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, চলমান নানা যে সংকট চলছে তা বৈশিক কারণে। এর জন্য বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়। অন্যান্য দেশের দায় বাংলাদেশকে বহন করতে হচ্ছে। বৈশিক পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে ১৪ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের ৬০ শতাংশই বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের। এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছে। তারা এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করছে। নিরবচ্ছিন্ন ও সহজলভ্য জ্বালানির যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই চুক্তি অবদান রাখবে।যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানি শেভরন দেশীয় গ্যাসের ৬৪ শতাংশই সরবরাহ করছে বলেও তিনি জানান।
Posted ১:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy