সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি কমবে ৬%

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি কমবে ৬%

ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি কমে যেতে পারে। চলতি বছর দেশটিতে তেলবীজের মজুদ বাড়ায় নভেম্বরে আসন্ন ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে ভোজ্যতেলের আমদানি নিম্নমুখী হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, দেশটিতে ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ ৬ শতাংশ কমে যেতে পারে।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক। মুম্বাইভিত্তিক উদ্ভিজ্জ তেলের ব্রোকারেজ ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান সানভিন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সন্দীপ বাজোরিয়া বলেছেন, ‘‌আশা করছি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৬৬ লাখ টনে। ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে আমদানির পরিমাণ ১০ লাখ টন কমে যেতে পারে। আগামী মৌসুমে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৫৬ লাখ টনে।’‌

ভারতে আমদানি হওয়া ভোজ্যতেলের সিংহভাগই মূলত পাম অয়েল। মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত উদ্ভিজ্জ তেলের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সন্দীপ বাজোরিয়া জানান, ২০২২-২৩ বিপণন বছরে এক কোটি টন পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত। আগামী বছর আমদানি কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৯৫ লাখ টনে।

সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রয়টার্স জানিয়েছিল, দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে ভারতীয় পরিশোধনকারীরা জুলাই থেকেই পাম অয়েল মজুদ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ে দেশটি ১২ লাখ ৫ হাজার টন এবং আগস্টে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করে। ২০২২ সালের আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ১৬ হাজার টন। সে হিসাবে চলতি বছর মাসটিতে আমদানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।

আর সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এসইএ) তথ্যমতে, আগস্টে ১৮ লাখ ৭০ হাজার টন উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি করেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় ও দেশীয় তেলবীজ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় ভোজ্যতেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।

ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল আমদানি করে। আর সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।

সম্মেলনে বাজোরিয়া বলেন, ‘‌ভারতে ২০২২-২৩ সালে সয়াবিন আমদানির সম্ভাব্য পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৫ লাখ টনে। ভোজ্যতেলটির মজুদ বাড়ায় আগামী ২০২৩-২৪ মৌসুমে সয়াবিনের আমদানি কমে দাঁড়াতে পারে ৩২ লাখ টনে।

সূর্যমুখী তেলের আমদানিও আগামী বছর দুই লাখ টন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ৩১ লাখ টন থেকে আগামী বছরের সম্ভাব্য আমদানি কমে দাঁড়াবে ২৯ লাখ টনে।

বাজোরিয়া মনে করেন, ১২-১৫ লাখ টন সয়াবিন এবং ১২-১৪ লাখ টন সরিষা মজুদের ফলে আগামী বছর ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ কমে আসবে। আর খালাস হওয়ার অপেক্ষায় বন্দরে আটকে থাকা ভোজ্যতেল বাজারে প্রবেশ করলে মজুদ ও সরবরাহের পরিমাণ আরো বাড়বে। সব মিলিয়ে আগামী বছর আমদানির পরিমাণ কমে আসবে।

চলতি বছর এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম আগস্ট পার করেছে ভারত। এ মাসে দেশটির স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ৩৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে কৃষিজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ভারতের সয়াবিন ও চীনাবাদামের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রিফাইনারিরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি বাড়িয়েছেন। আগামী বছর বৈরী আবহাওয়ায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত না হলে অভ্যন্তরীণ তেলবীজ উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com