নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
আগস্টে ভারত ও চীনে অপরিশোধিত রুশ জ্বালানি তেলের (ক্রুড) রফতানি কমেছে। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে দৈনিক রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৭ লাখ ব্যারেল। আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ব্যারেলে। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
মে থেকে জুলাই পর্যন্ত রুশ জ্বালানি তেলের প্রধান রফতানি গন্তব্য ছিল ভারত ও চীন। রাশিয়ার মোট জ্বালানি তেলের ৮০ শতাংশই আমদানি করে দেশ দুটি। তবে আগস্টে রুশ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমে গেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জ্বালানিটির উত্তোলন কমানোয় রফতানির পরিমাণও কমে এসেছে। বিশ্ববাজারে ওপেক জোটের ঘোষিত উত্তোলন কমানোর বাইরেও সৌদি ও রাশিয়া অতিরিক্ত উত্তোলন কমানোর নীতি অব্যাহত রেখেছে। ফলে বাজারে আমদানি-রফতানির পরিমাণও কমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) সর্বশেষ বাজার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল-মে মাসে চীন-ভারতে রুশ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ৪৭ লাখ ব্যারেল। আগস্টে দেশ দুটিতে দৈনিক রফতানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ব্যারেলে। পরিমাণ কমলেও মোট রফতানির অর্ধেকেরও বেশি গেছে এ দুই দেশে।
আইইএর তথ্যানুসারে, ভারত ও চীন বিশ্বের শীর্ষ দুই অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক। চলতি বছরের মে থেকে জুলাইয়ে মস্কোর মোট রফতানির ৮০ শতাংশই নিয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং। ওপেকের প্রাক্কলন বলছে, আকাশপথে ভ্রমণ বাড়ায় এবং কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে চাঙ্গা হওয়ায় ভারতে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটির দৈনিক চাহিদা দাঁড়াবে ২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে।
অন্যদিকে আইইএ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ও রাশিয়া যৌথভাবে দৈনিক ১৩ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়াতে চাচ্ছে তারা। ঘাটতি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ বেন্টের দাম ১০ মাসের সর্বোচ্চ ব্যারেলপ্রতি ৯৪ ডলারে উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে বৈশ্বিক মজুদের পরিমাণ কমেছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ব্যারেল। দৈনিক ভিত্তিতে কমেছে ২৪ লাখ ৬০ ব্যারেল।
জেএম ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনাল সিকিউরিটিজের মতে, আগস্টে রাশিয়ার দৈনিক উত্তোলন ছিল ৯৫ লাখ ব্যারেল। এ সময় জ্বালানি তেল রফতানি দৈনিক ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল এবং মাসিক ৭২ লাখ ব্যারেল কমেছে। আর বার্ষিক উত্তোলন কমেছে দৈনিক ৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল।
মোট রফতানির পরিমাণ কমা সত্ত্বেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও কম মূল্য ছাড়ের কারণে আয় বেড়েছে রাশিয়ার। আগস্টে দেশটির রফতানি আয় ১৮০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে। মে-জুলাইয়ে রাশিয়ান জ্বালানি তেলে ব্যারেলপ্রতি মূল্যছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪-৫ ডলার। আগে ব্যারেলপ্রতি ৬-১০ ডলার মূল্যছাড় পেতেন ক্রেতারা।
বছরের বেশির ভাগ সময়ই রাশিয়ান বাজার আদর্শ উরালের লেনদেন হয়েছে জি৭-এর বেঁধে দেয়া ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার মূল্যসীমার নিচে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওই মূল্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। ব্যারেলপ্রতি ৬৯ ডালারে উরাল বিক্রি করেছে দেশটি।
Posted ১২:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | munny akter