সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগস্টে বেড়েছে এলসি খোলার হার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

আগস্টে বেড়েছে এলসি খোলার হার

চলমান ডলার সংকটের কারণে নিষ্পত্তি কমে গেলেও গত পাঁচ মাসের মধ্যে আগস্টে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার হার ছিল সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি এলসি খোলা হয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে এলসি খোলার পরিমাণ কমছে। মার্চে ৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়, জুনে খোলা হয় ৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি; যা তিন বছরের সর্বনিম্ন। কিন্তু নতুন অর্থবছরে আমদানি বাড়তে শুরু করেছে।
তবে প্রান্তিক হিসাবের সঙ্গে তুলনা করলে আগস্টে এলসি খোলার হার ১৪ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালের আগস্টে ৬ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

কেন বছরের পর বছর এলসি খোলার হার কমেছে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমানে ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের আমদানি এলসি পর্যবেক্ষণ করছে। এই নজরদারির কারণে ওভার ইনভয়েসিং কমেছে, যাতে সামগ্রিকভাবে এলসি খোলা হয়েছে কম। ইনকামিং ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ডলারের জন্য একটি বাজারভিত্তিক বিনিময়হারের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি পরামর্শ দেন, বাজারভিত্তিক হার প্রাথমিকভাবে ১২০-১৩০ টাকা হতে পারে এবং শেষমেশ এটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে। তিনি আরও বলেন, এলসি খোলা এবং নিষ্পত্তি দুটি বিষয়কেই প্রভাবিত করছে ডলারের নন-মার্কেট রেট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আগের তুলনায় আমরা মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। আমরা এক্ষেত্রে সতর্ক এবং কেবল প্রয়োজন হলেই এলসি খুলি।’ এর একটি কারণ হিসেবে তিনি এলসি খোলার সময় পেমেন্টের শিডিউল নির্ধারণের নিয়মকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ডলার ফ্লো অতটা বেশি নয়। সামগ্রিকভাবেই এলসি খোলার পরিমাণ কমছে।’

এদিকে আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তিও প্রান্তিক হিসাবে আগস্টে ৩৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত বছরের আগস্টে ৭ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার এলসি পেমেন্ট করা হয়, এ বছরের একই মাসে তা ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। জুলাইতে এলসি পেমেন্টের পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে ডলার আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স সংগ্রহ আগস্টে ২১ শতাংশ কমে গেছে। এতে ব্যালান্স অব পেমেন্টে বেশ বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। চলমান ডলার সংকট নিরসনে এসব পদক্ষেপ কার্যতই যথেষ্ট নয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com