নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানি কমবে টানা দুই বছর। সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ ভারতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ ও শুল্ক আরোপের ফলে সরবরাহ কমবে বিশ্ববাজারে। এর ফলে কিছু দেশ থেকে রপ্তানি বাড়লেও ভারতের ঘাটতি পূরণ হবে না। বিশ্বে চালের বাণিজ্য নিয়ে সর্বশেষ পূর্বাভাসে এমন তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)।
সংস্থা জানায়, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বে চালের বাণিজ্য কমবে। গত ২০ জুলাই ভারত সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধ চালেও শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে অনেক আমদানিকারক দেশ জরুরি ভিত্তিতে চাল কেনে।
এতে এশিয়ার বাজারে দ্রুত দাম বেড়ে যায়। ভারতের সরবরাহ কমায় ২০২৩ সালে বিশ্বে চাল রপ্তানি ১৯ লাখ টন কমে হবে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টন। এর মধ্যে ভারতের সরবরাহ ২০ লাখ টন কমে হবে দুই কোটি ৫০ লাখ টন। যদিও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এশিয়া ও সাব-সাহারা আফ্রিকার অনেক বড় দেশেরও আমদানি কমবে।
একইভাবে ২০২৪ সালে বিশ্বে চালের রপ্তানি ৩৪ লাখ টন কমে হবে পাঁচ কোটি ২৯ লাখ টন। এর মধ্যে ভারতের রপ্তানি ৪০ লাখ টন কমে হবে এক কোটি ৯০ লাখ টন। ২০২৪ সালে ভারতের রপ্তানি কমলেও সরবরাহ বাড়বে ব্রাজিল, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভিয়েতনামের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানি সীমিত করতে একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বাসমতী চাল রপ্তানিতে টনপ্রতি ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দিয়েছে তারা।
ফলে ভারতের ব্যবসায়ীদের বাসমতী চাল রপ্তানি করতে হবে টনপ্রতি কমপক্ষে এক হাজার ২০০ ডলার দরে।
মূলত সামনে ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচন, তার আগে স্থানীয় বাজারে চালের দাম যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতেই বিজেপি সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের তথ্যানুসারে, ভারতে চালের দাম গত এক বছরে ১১ শতাংশ বেড়েছে, আর এক মাসে বেড়েছে ৩ শতাংশ। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানি নীতিতে এই পরিবর্তন আনছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাসমতী ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের রপ্তানি আগেই নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর গত শুক্রবার সিদ্ধ চাল রপ্তানিতেও ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। কিন্তু কোনো কোনো ব্যবসায়ী সাদা চালকে বাসমতী হিসেবে মোড়কজাত করে রপ্তানির চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, এবার বাসমতী চালের রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার কারণে সেই প্রবণতা কমবে। বৈশ্বিক বাজারে যে পরিমাণ চাল বেচাকেনা হয়, তার ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসে ভারত থেকে।
বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে চালের দাম ০.৬৮ শতাংশ কমলেও গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৩.১০ শতাংশ এবং এক মাসের হিসাবে বেড়েছে ৩.২৩ শতাংশ।
Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter