নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বার্ষিক উৎপাদন পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর দেশে আলুর উৎপাদন ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।
চলতি বছর কৃষকরা রেকর্ড ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদন করেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাজারে আলুর দাম কমছে না। ফলে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোয় আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
আলুর বর্তমান দাম গত বছরের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়ী ও কৃষকরা শীতে বিক্রির জন্য হিমাগারে আলু মজুদ রাখেন। তারা ধীরে ধীরে তাদের মজুদ থেকে আলু বাজারে ছাড়েন।
সেপ্টেম্বরে আলু রোপণের পর তা সংগ্রহ করতে ৯০ দিন সময় লাগে। জানুয়ারিতে ফসল তোলার পর পরবর্তী কয়েক মাস বাজারে আলুর সরবরাহ নিশ্চিত থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুনের মধ্যে হিমাগারে মজুদ আলু ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে পরবর্তী মৌসুমের আলু তোলা পর্যন্ত বাজারে পুরনো আলু থাকে। বছরের এই সময় অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকায় আলুর চাহিদা বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বার্ষিক উৎপাদন পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় দেশে আলুর উৎপাদন ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ কোটি টন।
আলুর এই বাড়তি দামের কারণ হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মতো দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর বাজার পর্যবেক্ষণের অভাবকে দায়ী মনে করেন ।
তবে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) সরকারের এ তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছে, এবার আলুর উৎপাদন ৮০ লাখ টনের বেশি হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের কাঁচাবাজারের কয়েকজন দোকানদারকে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত নিতে দেখা গেছে।
Posted ১:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter