নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
চলতি সপ্তাহেও এশিয়ার শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামিজ চালের রফতানি মূল্য ছিল সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ভারত সম্প্রতি চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় দেশটির চালের দাম ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে, থাই চালের দাম বেড়ে ভিয়েতনামিজ চালের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমদানিকারকদের জন্য ভারতের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ভিয়েতনামের পাশাপাশি থাই চাল আমদানিও বাড়াচ্ছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভিয়েতনাম চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৬৫০-৬৬০ ডলারে রফতানি করছে। এর আগের সপ্তাহে রফতানি করা হয়েছিল ৬৬০ ডলারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় সরবরাহ কম। ফলে রফতানিকারকরা নতুন কোনো রফতানি চুক্তি থেকে বিরত আছেন। দাম বাড়ার কারণে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া যেসব ব্যবসায়ী চালের মজুদ করে রেখেছিলেন তারাও বেশ ভালো মুনাফা তু্লে নিচ্ছেন পণ্যটি থেকে। প্রাথমিক তথ্যমতে, ১-২৬ আগস্ট পর্যন্ত হো চি মিন সিটির বন্দরগুলোয় রফতানির উদ্দেশ্যে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮০ টন চাল জাহাজীকরণ করা হয়।
এদিকে থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৬৩০ ডলারে রফতানি করছে। এর আগের সপ্তাহে একই চাল রফতানি করা হয় ৬১৫-৬২০ ডলার মূল্যে। সম্প্রতি দেশটির রফতানি বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতীয় ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৫০-৪৫৫ ডলারে। দুই সপ্তাহে আগে এটির দাম রেকর্ড ৪৬০-৪৬৭ ডলারে উঠে গিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণ ও মজুদ ধরে রাখতে সেদ্ধ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। গত শুক্রবার এ শুল্ক আরোপ করা হয়, যা আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানির উদ্দেশ্যে যেসব সেদ্ধ চাল এরই মধ্যে শুল্কায়নের জন্য কোনো ভারতীয় বন্দরে রয়েছে এবং রফতানির জন্য ২৫ আগস্টের আগে বৈধ ঋণপত্র খোলা হয়েছে, সেসব চাল নতুন আরোপিত শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে।
বৈশ্বিকভাবে চালের মূল্যবৃদ্ধি পেতে শুরু করলে গত বছর ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। পাশাপাশি তখন বাসমতি নয় এমন চালের রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর পরও দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তে থাকে চালের দাম। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ে। দেশের ভেতরে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম সামাল দিতে চলতি বছরের ২০ জুলাই বাসমতি নয়, এমন সাদা চাল রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। ভারত থেকে মোট রফতানি হওয়া চালের প্রায় ২৫ শতাংশ অবাসমতি সাদা চাল।
Posted ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter