নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ডেঙ্গুর প্রভাবে বাজারে লাগামহীন ডাবের দাম। ডাবের আকার বড় হোক কিংবা ছোট, ১২০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো ডাব। এদিকে কোনো কোনো এলাকায় আকারে বড় ডাবের দাম ছুঁয়েছে ‘ডাবল সেঞ্চুরি’র ঘর।
তবে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ডাবের দাম ১০০ টাকার বেশি চাইলে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোক্তা অধিকারের ঘোষণার পর রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল, রমনা পার্ক, কারওয়ানবাজার ও পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিপিস বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। আর ছোট ও মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে ডাবের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়াতে ডেঙ্গু ও সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখানো হচ্ছে।
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের প্রত্যয় বলেন, ‘ডাবের এত দাম আগে দেখিনি। এক পিস ডাবের দাম পড়ছে ১৫০ টাকার ওপরে। সরকারের উচিত ডাবের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া।’
তৌহিদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন,
রমনা পার্ক এলাকায় আগে ১০০ টাকার নিচে প্রতিপিস ডাব পাওয়া যেত। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ডাব এখন আর গরিবের পানীয় না; এটি বড়লোকের পানীয়।
তবে বিক্রেতারা জানান, ধীরে ধীরে কমে আসছে ডাবের দাম। কয়েক দিন আগেও ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে প্রতিপিস ডাব। তবে সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। সামনে আরও কমবে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ডাব বিক্রেতা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, ডাবের দাম কমতে শুরু করেছে। আড়তগুলোতেও সরবরাহ বাড়ছে। আমদানি বাড়লে সব পণ্যেরই দাম কমে। ডাবের ক্ষেত্রেও সেটি হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় ডাব বিক্রি করছেন মো. ফরিদুল ইসলাম। ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়
তিনি আরও বলেন,
পাইকারি পর্যায়ে প্রতিপিস ডাব কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। এরপর অন্যান্য খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে মান ও আকারভেদে ডাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরেক বিক্রেতা জহির বলেন, ডাবের দাম আপাতত আর বাড়বে না। ধীরে ধীরে আরও কমে আসবে।
Posted ১২:৩৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter