নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই হিসাবে দেশের রিজার্ভ এখন ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতিতে রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে রিজার্ভ গণনায় আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত, প্রতি মাসে গড়ে বিদেশ থেকে পণ্য কেনার জন্য ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। সেই হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রধান উৎস হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। গত মাসের মতো চলতি মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ মন্থর। জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। চলতি আগস্টেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়েনি। আগস্টের প্রথম ১১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার।
বাজারে সংকট থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণও দ্রুত কমছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলোয় এখনো ডলার সংকট কমেনি। প্রতিদিনই কেনার বিপুল চাহিদা আসছে। কোনো কোনো দিন তা ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকৃত চাহিদা যাচাই করে তবেই ডলার বিক্রি করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত জ্বালানি তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির দায় মেটানোর জন্য ডলার বিক্রি করছে। পাশাপাশি সরকারের বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্যও ডলার বিক্রি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
Posted ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter