নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ডিম-মুরগির বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘প্রাণিজ আমিষের এই উৎস দুটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারাই দাম বাড়াচ্ছে আবার প্রয়োজনে তা কমাচ্ছে। এতে তারা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা। তাই এই চক্র ভাঙা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় মুরগি ও ডিমের মূল্য আরও বাড়তে পারে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রান্তিক খামারি এবং করপোরেটদের ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচের ফারাক ও বাজার নিয়ন্ত্রণের বিস্তারিত তুলে ধরেন সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে ১১ টাকা এবং প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। অন্যদিকে করপোরেটদের ডিমে ১০ টাকার কম আর মুরগিতে খরচ হয় ১১৯ থেকে ১৩০ টাকা। অথচ যখন প্রান্তিক খামারিদের ডিম-মুরগি বাজারে আসে তখন দাম কমে যায়। এর কারণ হচ্ছে বড় ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে দাম বাড়ান আবার কমান। এতে পুঁজি ফিরে পেতেই হিমশিম খেতে হয় খামারিদের।’
‘অন্যদিকে গ্রুপ অব কোম্পানিগুলোর ডিম-মুরগি বাজারে এলে মূল্য বেড়ে যায়, তাদের দ্বিগুণ মুনাফা হয়। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়।’
সুমন হাওলাদার বলেন, ‘সিন্ডিকেট আছে ফিড উৎপাদনকারীদের মধ্যেও। তারা নানা অজুহাতে ফিডের দাম বাড়ান কিন্তু আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে কাঁচামালের দাম কমলে কমাতে চান না।’
Posted ১:১৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy