নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির পরিমাণ দিন দিন কমছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ১৫ হাজার ২৩৩ টন ক্রু রাইস ব্র্যান অয়েল রফতানি হলেও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে ৮ হাজার ৫১১ টনে দাঁড়িয়েছে। এজন্য ভারত অভ্যন্তরে নানা জটিলতাকে দায়ী করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভারতে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা না থাকা, কোয়ারেন্টাইন অফিস, বন্দরের ব্যবস্থাপনা না থাকা ও রাস্তা সরুসহ নানা জটিলতার কারণে রফতানি বাড়ছে না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে আমরা ইচ্ছা করলেও সব ধরনের পণ্য রফতানি করতে পারছি না। বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি করতে গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে।’ তিনি অভিযোগ করেন ভারতীয় অংশে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পোস্টিং দেয় না। এছাড়া ওখানে বন্দরের কোনো ব্যবস্থাপনা নেই।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে পণ্য রফতানি হবে তার কোনো কর্মকর্তা নেই। ভারতে গিয়ে যে পণ্যটি খালাস করে নেবে কোয়ারেন্টাইনসহ এ ধরনের কোনো অফিস তাদের নেই। বাধ্য হয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশে যখন আলুর দাম কম থাকে, সে সময় কিন্তু ভারত বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানি করতে চায় কিন্তু তাদের ওখানে অফিস না থাকার কারণে তারা নিতে পারে না।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, ‘আমাদের হিলিতেই একটি জুট মিল রয়েছে, সেখানে উৎপাদিত চটের বস্তাগুলো ভারতে রফতানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এর একটিমাত্রই কারণ এ বন্দরের ভারত অংশে এ পণ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা রফতানির প্রক্রিয়া করার কোনো অফিস নেই। এতে করে আমাদের যেমন পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ছে। এছাড়া আমাদের এ অঞ্চলে ব্যাপক কলার আবাদ হয়। ভারতে কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু আমরা রফতানি করতে পারছি না।’ একই অভিমত হিলি স্থলবন্দরের অপর আমদানিকারক রবিউল ইসলামেরও।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন বলেন, ‘আমাদের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যে হারে পণ্য আমদানি হয় সেই হারে পণ্য রফতানি হয় না। বন্দর দিয়ে যদি পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পেত তাহলে অধিক পরিমাণ ডলার আসত বাংলাদেশে।’
Posted ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | munny akter